সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা :
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ০৭.০২.২০২৩ ইং নেত্রকোনার আওতাধীন নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন হাওরের ডুবন্ত বাঁধ ভাঙ্গন বন্ধকরণ/ মেরামতকারণ কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। মনগড়া কমিটি করেছে বলে দাবি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের এবং নিয়মের পরিপত্র বহির্ভূত নয় বলে ১৭ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আলী বিশ্বাস।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের নেত্রকোনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন উদাখালী উপ-প্রকল্প প্রকল্পের ১ নং পিআইসি পরিপত্র মোতাবেক স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সাথে পরামর্শ অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান এর সাথে কোনো পরামর্শ না করে কমিটির দাখিল করা হয়েছে যা পরিপত্রে পরিপন্থী নয়।
এদিকে সরেজমিনে গেলে কাজের কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি, বাঁধের মাটিও আনছে সরকারি খালের পাড় কেটে।
কলমাকান্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল আলী বিশ্বাস বলেন,পানি ইউনিয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের কাজের কমিটির গঠনমূলক ভাবে করেনি মনগড়া ভাবেই করেছে। পরামর্শ তো দূরে থাক জানায়নি পর্যন্ত। এদিকে আবার সরকারি সেওয়াটি খাল থেকে মাটি কেটে বেড়িবাঁধে দিচ্ছে, সেটি ও জানি না।শুধু ১নং পিআইসি নয় কলমাকান্দা উপজেলার সবকটি কমিটির গঠনে একিই অবস্থা।প্রশাসন ও কিছুই জানায়নি।
১নং পিআইসির সভাপতি বদিউল হক বাবুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেনি। তবে গত জানুয়ারির ৩১ তারিখ সরেজমিনে গেলে রাস্তার পাশে গর্ত ও খাল থেকে মাটি উত্তোলনের কারণ সহ সাইনবোর্ড না দেওয়ার কথা জানতে চায়লে তিনি বলেন,সরকারি কাজ করছি মাটি কোথা থেকে আনবো, কৃষক তো আর নিজের ফসলী জমি থেকে মাটি দিবে না।খাল থেকে মাটি গ্রামের কৃষকদের পরামর্শ নিয়েই এনেছি। আর সাইনবোর্ড উদ্ধোধনীর সময় ছিলো,নিয়ে বা ছিড়ে ফেলবে বলে নিয়ে এসেছি।
এদিকে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেমের সাথে অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করার জন্য বারবার ফোন দিলেও তা রিসিভ করেনি।
এদিকে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিবার্হী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান,কমিটি গঠনে উনার কোন এখতিয়ার নেই, উপজেলা প্রশাসনের বিষয় এটা।বিলবোর্ড সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া যায়নি সে ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি কলমাকান্দা উপজেলার সবগুলো কাজে গিয়েছি এবং সাইনবোর্ড পেয়েছি তবে যে কয়টিতে ছিলো না তাদের ৫ দিনের সময় দিয়ে এসেছি সাইনবোর্ড দেওয়ার জন্য। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী জায়গায় গর্ত করে মাটি নেয়া হয়েছে সেগুলো ভরাট করে দেওয়ার জন্য পিআইসির সদস্যদের বলে দেওয়া হয়েছে যদি গর্ত গুলো ভরাট না করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।